রাজহাঁসের খাদ্যাভ্যাস

এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

রাজহাঁসের খাদ্যাভ্যাস 

বাচ্চা ফোটার পর ব্রুডিংকালে খাদ্যাভ্যাস ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা বাচ্চা রাজহাঁসকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী মুরগির স্টার্টার রেশন সরবরাহ করতে হবে। প্রোটিনের শতকরা হার হবে ২০% এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সরবরাহ করতে হবে। যখন বাচ্চা প্রাপ্ত বয়স্ক হবে অর্থাৎ বয়স প্রায় ৩ সপ্তাহ হবে তখন তাদেরকে গ্রোয়ার রেশন (পিলেট ফিড) দিতে হবে যাতে প্রোটিনের শতকরা হার থাকবে ১৬-২০%। এর সাথে আরও গ্রিট ফিড দিতে হবে। গ্রিট ফিড হল বিভিন্ন মিনারেলস জাতীয় খাবার, যেমন- ঝিনুক, শামুক, হাড় গুঁড়া ইত্যাদি সরবরাহ করতে হবে। কখনও রাজহাঁসকে মেডিকেটেড পোল্ট্রি ফিড সরবরাহ করা যাবে না। যে সমস্ত রাজহাঁস ডিম উৎপাদন করে তাদেরকে দৈনিক ২০০ গ্রাম খাবার সরবরাহ করতে হবে।

রাজহাঁসের সুষম খাদ্য তৈরির নমুনা

চারণ ভূমিতে রাজহাঁসের খাবার 

যখন রাজহাঁস সম্পূর্ণ প্রাপ্ত বয়স্ক অর্থাৎ ছয় সপ্তাহের বেশি বয়স হবে তখন তাদেরকে মুক্ত চারণ ভূমিতে দিতে হবে যেখান থেকে তারা প্রাকৃতিক ঘাস খাওয়ার ক্ষমতা গড়ে তোলার অভ্যাস করবে। চড়ে ঘাস খাওয়া রাজহাঁসের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত। পরবর্তীতে মুক্ত চারণে দিতে হবে। তবে চারণভূমিতে কখনও কীটনাশক ব্যবহার করে ঘাস উৎপাদন করা যাবে না ।

এক একর চারণভূমিতে ৩৬-৪০ টি রাজহাঁস পালন করা যায়। চারণভূমিতে ৩-৪ ফুট উঁচু তারের বেড়া দিতে হবে যাতে হাঁসগুলোকে বাইরের বন্যপ্রাণী থেকে রক্ষা করা যায়। রাজহাঁস শুধু ভেজেটারিয়ান নর, তারা ঝিনুক, শামুক, কেঁচো, ইঁদুর খেয়ে থাকে। তারা করেজ-এর সাথে সাথে বিট এর ফুল খুব পছল করে থাকে। তারা সব জাতীয় মূল এবং শাকসবজির উচ্ছিষ্টাংশ পছন্দ করে, কিন্তু টক জাতীয় কোনো কিছু পছন্দ করে না ।

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ

রাজহাঁসের ৫০ কেজি সুষম খাদ্য তৈরি কর যে খাবারে ১৮% আমিষ এবং ২৭০০ কিলোক্যালরি শক্তিমান থাকবে।

 

 

 

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion